ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ রোববার দুপুর নাগাদ আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যার পর চূড়ান্ত আঘাত আনতে পারে বলে জানানো হয়েছে। রোববার আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’ পরিণত হয়েছে। এ কারণে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এর প্রভাবে উপকূল এলাকায় ১০-১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি ও দুর্যোগ মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।
রোববার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে এই তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, দুর্গত মানুষের পাশে থাকার জন্য দুর্যোগ মন্ত্রণালয়সহ সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এমনকি পৌরসভা, বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদেরও ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে এটি মহাবিপদ সংকেতে পরিণত হয়েছে। আজ সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ দেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করবে। আর মধ্যরাত নাগাদ মূল যে ঝড় সেটি অতিক্রম করবে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের গতিবেগ ৯০-১২০ কি.মি.। তবে যখন উপকূলে আসবে তখন এটা বেড়ে ১১০-১৩০ কি.মি পর্যন্ত হবে।
তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকায় ১০ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাস হবে। পাশাপাশি ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে বৃষ্টি হতে পারে। পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের ভেতরে নৌ চলাচল বন্ধ থাকবে। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সব মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। পাশাপাশি চিকিৎসা সামগ্রী, শুকনো খাবার আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে ৮ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র আছে। সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্য বাহিনীগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।