পাবনা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সংবিধান প্রণেতা সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের সমর্থক ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ দুলালসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে জেলার সাঁথিয়া পৌর সদরের বোয়ালমারী বাজারে এই ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের সবার নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও নেতাকর্মীরা জানান, বিকেলে বোয়ালমারী বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাঈদ এর নির্বাচনী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সন্ধ্যায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী মিছিল বের করেন নেতাকর্মী সমর্থকরা। মিছিলটি উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস পার হওয়ার সময় পিছন থেকে ইট পাটকেল ছুঁড়ে নৌকার সমর্থকরা। এ সময় পাল্টা হামলা করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরাও। উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এবিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর ছেলে বেড়া পৌরসভার মেয়র আসিফ শামস রঞ্জনের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীরা আমাদের অফিসে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের ১৪ জন আহত হয়েছেন। দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা জিততে পারবে না জেনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা জন্য পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে।

এবিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র (নৌকা প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর ছোট ভাই) আব্দুল বাতেন বলেন, আমরা সতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী সভা শেষে ফেরার পথে দুইপাশ থেকে নৌকার সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়েছে। আমরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছি। এতে আমাদের ৭-৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমাদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করতে বেড়া-সাঁথিয়ায় তিন দলে বিভক্ত হয়ে তিনটি মাস্তান বাহিনী করেছে নৌকার নেতাকর্মীরা। এই মাস্তান বাহিনী কোথাও আমাদের মিটিং করতে দিচ্ছে না। পুলিশ তাদের সঙ্গে পারছে না।

এব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার পর পরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।