আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-২ আসনে (সুজানগর – বেড়ার একাংশ) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) সংসদ সদস্য প্রার্থী দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ডলি সায়ন্তনী অভিনব কৌশলে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থণা করছেন। নানা বয়সী নারী-পুরুষের মন কেড়েছেন গানে গানে ভোট চেয়ে। এ ঘুরে দেখা যায় শুধুমাত্র শিল্পী ডলি সায়ন্তনীর কারনেই মনে হচ্ছে নির্বাচনী উৎসব।

উৎসব আমেজে মাতোয়ার এলাকার ভোটাররা। হাট-বাজার, মাঠে-ঘাটে, পথে প্রান্তরে গান গেয়ে, মাথায় হাত বুলিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী কৌশলে নিজে ও তাঁর সমর্র্থকরা ভোটারদের দ্বারে গিয়ে ভোট ভোট চাচ্ছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি এই ভাবে তার ভোটের প্রচারাভিযান চালাচ্ছেন। নির্বাচনী এলাকার সুজানগর পৌরসভা, সাতবাড়ীয়া, মানিহহাট, ভায়না, নাজিরগঞ্জ, হাটখালী, রানীনগর, সাগরকান্দি ইউনিয়নের গ্রামগুলো ঘুরে ডলি সায়ন্তনীর নির্বাচনী আমেজ এমনই দেখা যায়।

গানেগানে ভোটের মাঠ মাতিয়ে তাঁর নোঙর মার্কা প্রতীকে ভোট ও দোয়া চান তাঁর জন্য। এই আসনে ৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির নৌকা প্রতীক এবং জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) নোঙর প্রতীকের ডলি সায়ন্তনী ছাড়া কোন প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা চোখে পড়েনি। সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে একই সাথে এই দুইজন প্রার্থীর পোষ্টার, লিফলেট চোখে পড়েছে। নেই কোন রেসারেসি।

সঙ্গীত জগত থেকে রাজনীতিতে পা দিয়ে ডলি সায়ন্তনী এ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি পাবনা শহরে জন্মগ্রহন করলেও তার দাদা ও নানার বাড়ী পাবনা ২ আসনের সুজানগরে। সঙ্গীত জগত থেকে হঠাৎ করে রাজনীতির ময়দানে আগমন এবং সরাসরি ভোট যুদ্ধে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে শিল্পী ডলি সায়ন্তনী বলেন আমি সুজানগরকে ভালবাসি এই এলাকার আরও উন্নয়ন করতে চাই।

দেশে যে পরিমান পিয়াজ উৎপাদন হয় তার একটি বড় অংশ উৎপাদন হয় এই সুজানগরের মাটিতে। আমি যদি নির্বাচিত হই তাহলে এই সুজানগরে একটি অত্যধুনিক পিয়াজ সংরক্ষণাগার তৈরী করবো। এক প্রস্নের জবাবে তিনি আরও জানান পদ্মা ও যমুনা নদী বেষ্টিত এই সুজানগরে উপজেলাবাসীকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে আগে নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। নারী প্রার্থী হিসাবে তার কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা জানতে চাওয়া হলে শিল্পী ডলি সায়ন্তনী বলেন প্রথম দিকে পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে অসুবিধা হলেও এখন আর সে পরিস্থিতি নেই। সুজানগরবাসী আমাকে সাদরে গ্রহন করেছেন। আমি তাদের ভালবাসায় সিক্ত।

আগামী ৭ জানুয়ারী ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্হিতি প্রসঙ্গে এবং বিজয়ের ব্যাপারে তিনি কতটুকু আশাবাদী জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে আশাকরি ব্যাপক ভোটার উপস্হিত হবে। আমি আশা করি সুজানগরবাসী ভোটদানের মধ্য দিয়ে আমাকে ভালবেসে বিজয়ী করবেন। ভায়না গ্রামের কুদ্দুস, সাতবাড়ীয়ার আজাদ, মথুরাপুরের বকুল, আতোয়ার, আব্দুর রব বলেন আমরা এবার দেশের মেয়ে ডলি সায়ন্তীকে ভোট দেবো। তিনি এলাকার মেয়ে হিসেবে অমাদের অহংকার, গর্ব করছি আমরা।
গানে গানে ভোট চাওয়ার কৌশলে মাতিয়ে রেখেছেন সুজানগর উপজেলাবাসীকে সঙ্গীত শিল্পী ডলি সায়ন্তনী। তার কারনেই এই আসনের নির্বাচনে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে।