রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা ভাগনারের সাবেক প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা হলেও এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন, উড়োজাহাজের ভেতরে গ্রেনেড বিস্ফোরণে প্রিগোজিনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার পুতিন ইঙ্গিত দেন, প্রিগোজিনের বিমানটি ভেতর থেকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। গুজবের কাহিনীর মতো কোনো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সেটিকে আঘাত করা হয়নি।

রাশিয়ার সোচি শহরে ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবের এক সভায় পুতিন বলেন, ‘রাশিয়ার তদন্ত কমিটির প্রধান জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহে হাতবোমার টুকরো পাওয়া গেছে। বিমানটিতে কোনও বাহ্যিক ক্ষতির চিহ্ন ছিল না – এটি ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত সত্য।’

এক সময় পুতিনের বেশ কাছের বন্ধু ছিলেন প্রিগোজিন। কিন্তু গত ২৩ জুন তিনি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এমনকি নিজের যোদ্ধাদের নিয়ে মস্কোর দিকে যাত্রাও শুরু করেন তিনি। ওই ঘটনায় একদিনের ব্যবধানে প্রিগোজিন পুতিনের ‘বন্ধু থেকে শত্রুতে’ পরিণত হন। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, পুতিনের নির্দেশেই প্রিগোজিনকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও এসব দাবিকে ‘মিথ্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে মস্কো।

গত আগস্টে ‘এমব্রেয়ার লিগ্যাসি’ নামের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে রাশিয়ার মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে যাচ্ছিলেন প্রিগোজিন। পথে কুঝেনকিনো এলাকায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।

উড়োজাহাজে থাকা সাত যাত্রীর মধ্যে ছিল প্রিগোজিন ও ওয়াগনারের আরেক শীর্ষ নেতা দিমিত্রি উতকিন। এছাড়া প্রিগোজিনের চার দেহরক্ষীও সেখানে ছিলেন। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ১০ আরোহীর সকলেই নিহত হন।

তবে এক্সিকিউটিভ জেটে কীভাবে গ্রেনেড বা গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটানো যেতে পারে সে সম্পর্কে পুতিন আর কোনও তথ্য দেননি।