বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ টস হেরে গেছে। এশিয়া কাপে টিকে থাকার ম্যাচ আজ জয় ছাড়া বিকল্প পথ জানা নেই বাংলাদেশ বা লঙ্কানদের। উইকেটে দেখে-বুঝেই লঙ্কনরা টস জিতে আগে বল হাতে তুলে নিয়েছে। বাংলাদেশ দল আফগানদের বিপক্ষে হেরে পিঠ দেয়ালে, একই অবস্থা লঙ্কানদের। তবে আজকের ম্যাচে বেশ ভালই জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ। লাইন আপে পরিবর্তন এনে ফলাফল হাতে-নাতে। বড় পুঁজি গড়েছে বাংলাদেশ। ২০ ওভার শেষে সংগ্রহ ১৮৩/৭, লঙ্কানদের জয় পেতে হলে ১৮৪ করতে হবে। লঙ্কানদের ওভার প্রতি করতে হবে ৯.২ রান।

জয় চায় দুই দলই, টস হেরে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমেছে অনেক পরিবর্তন নিয়ে। ওপেনিং জুটিতেই বদলে দিয়ে বাংলাদেশ। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছিল মিরাজ আর সাব্বির রহমান ওপেন করতে পারেন।

সেটাই করেছি বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্ট, স্কোর ১৯/১, ২.৫ ওভার শেষ। তুলে মারতে গিয়ে সাব্বির ৬ বলে ৫ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরগ গেলেন। আরেক ওপেনার মিরাজের নতুন সঙ্গী অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ক্রিজে।

টিকে গেলেন মিরাজ, সাকিব সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন, মিরাজ ২০ বলে চার-ছয় দিয়ে ৩১ আর সাকিব ৩ রানে ব্যাট করছেন। স্কোর ৫ ওভারে ১ উইকেটে ৪৭। স্টে হয়ে যাওয়া মিরাজ ২৬ বলে ২ চার আর ২ ছক্কার মার দিয়ে বোল্ড হলেন ৬.৫ ওভারে।

এরপর সাকিব-মুশফিক জুটির এগিয়ে যাওয়ার পালা, স্কোর ৬৩/২, ৭.৫ ওভার শেষে। কিন্তু মুশফিক উইকেটের পেছনে বল জমা দিলে স্কোর দাঁড়ায় ৬৩/৩, ওভার ৮। ৪র্থ জুটিতে সাকিবের সঙ্গে আফিফ ক্রিজে যোগ দিলেন।

আবারো একটি জুটি দাঁড়ানো স্বপ্ন, সাকিব ১০ ওভারে পর পর দুই বাউন্ডারি মেরে রান বাড়িয়ে নিলেন, স্কোর ১০ ওভার শেষে  ৮৫/৩। এরপর মাহমুদুল্লাহ আর আফিফের জুটি ৫ম উইকেটে লঙ্কান বোলারদের মাথা চাড়া দেবার কোন সুযোগই দিলেন না। তাই তো ১৬ ওভার শেষে স্কোর ৪ উইকেটে ১৩৮। আর ১৭ ওভার শেষ হবার আগেই আফিফ ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হলেন। ১৬.৪ ওভারে স্কোর ১৪৪/৪, আফিফ ২২ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কা দিয়ে করেন ৩৯ রানে।  মাহমুদুল্লাহ তখন ১৮ বলে ২৪ রানে ব্যাট করছেন।  হাতে ছিল মাত্র ৩ ওভার, তাই রান দরকার। মাহমুদুল্লাহ উইকেট ধরে না রেখে রান তুলতে চাইলে ক্যাচ উঠে যায়। ২২ বলে ১ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কার মার দিয়ে ২৭ রানে আউট মাহমুদুল্লাহ।

শেষ দিকে আরেক মেহেদী হাসানকে সঙ্গে নিয়ে রান বাড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা করলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।  মেহেদী এলবি’র ফাঁদে কাটা গেলেন। ১৮ ওভারে স্কোর ছিল ১৫৯/৭, আর শেষ ২ ওভারে ১২ বলে তাসকিন আর সৈকত মিলে যোগ করে আরো ২৪টি রান। সৈকতের নামের পাশে ৮ বলে ২২ আর তাসকিনের নামের পাশে ৬ বলে ১১ রান ছিল।