করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান ‘লকডাউন’ ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এবারও গণপরিবহন ও অফিস-আদালত বন্ধ থাকছে। তবে শপিংমল ও দোকানপাট শর্তসাপেক্ষে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। জরুরি সেবা ছাড়াও উৎপাদনমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চালাতে পারবে। এ ছাড়া লকডাউন বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপনে আরও পাঁচটি নির্দেশনা যুক্ত করা হয়েছে।

‘লকডাউনে’র শুরুতে শপিংমলসহ দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও ‘জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে’ ২৫ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমল খোলার অনুমতি দেয় সরকার। এবার দোকান খোলা রাখার সময় বাড়িয়ে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত করা হলো। এ ছাড়া ব্যাংকে লেনদেন করা যাচ্ছে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। সীমিত জনবল দিয়ে বিভিন্ন শাখা চালু রেখেছে ব্যাংকগুলো। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে দ্বিতীয় ধাপে ১৪ এপ্রিল থেকে চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

এবারের প্রজ্ঞাপনে যুক্ত হওয়া নতুন পাঁচটি সিদ্ধান্ত হলো

১. স্থল, নৌ বা বিমানে করে ভারত থেকে বাংলাদেশে যাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে পণ্য পরিবহন এর আওতামুক্ত থাকবে। ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ বাংলাদেশিরা ভারতে বাংলাদেশ মিশনের অনুমতি বা অনাপত্তিপত্র নিয়ে বিশেষ বিবেচনায় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন-সংক্রান্ত নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

২. দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসাপেক্ষে খোলা রাখা যাবে।

৩. আসন্ন ঈদের নামাজের বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

৪. মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও চীন থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে যাদের টিকা গ্রহণের সনদ এবং কোভিডমুক্ত সনদ থাকবে, তারা নিজেদের বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। সে ক্ষেত্রে তাদের বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট থানায় অবহিত করতে হবে।

৫. মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও চীন থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে যাদের কেবল কোভিডমুক্ত সনদ থাকবে, তাদের সরকার নির্ধারিত ব্যবস্থায় কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে সম্মতি দিলে তারা নিজেদের বাড়ি ফিরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের বাকি সময় শেষ করবেন। সে ক্ষেত্রে তাদের এলাকার থানায় অবহিত করতে হবে।