সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশেই বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদকে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। এতে সরকারের কোন হস্তক্ষেপ নেই। বেগম খালেদা জিয়াকেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে ঢাকা ক্যান্টনম্যান্টের মইনুল হোসেন রোডের বাড়িটিও ছাড়তে হয়েছে। এখানেও সরকারের কোন ভূমিকা ছিল না। খালেদা জিয়া ও মওদুদ অবৈধভাবে এসব বাড়িতে ছিলেন। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর যেসব সংস্থা রায় বাস্তবায়ন করার কথা, সেসব সংস্থা সে রায় বাস্তবায়ন করেছে। এসবের সঙ্গে সরকারের কোন সম্পর্ক নেই।

মন্ত্রী বিএনপি’র সমালোচনা করে আরো বলেন, ২০০১সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর নির্বাহী আদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য বরাদ্ধকৃত গণভবন ও ধানমন্ডিতে শেখ রেহেনার জন্য বরাদ্ধকৃত বাড়িটিও কেড়ে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু মওদুদ ও খালেদা জিয়া সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি’র অত্যাচারে আওয়ামীলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী কাপড় ছাড়া খালি গায়ে এলাকা ছেড়েছে। সেটা জনগণ ভুলে যায়নি।

তিনি বৃহষ্পতিবার দুপুরে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গীর চেরাগআলী মার্কেট এলাকায় ঈদ উপলক্ষে যানজট পরিস্থিতি পরিদর্শণে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী জানান, আসন্ন রমজানের ঈদে মানুষের চলাচল নির্বিঘœ করতে সড়ক মহাসড়কে আনসার, পুলিশসহ কমিউনিটি পুলিশ কাজ করবে।

এসময় মন্ত্রীর সাথে ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ ও গাজীপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জামিল হোসেনসহ সড়ক ও জনপথের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।