লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় বিদ্যুতের ছিঁড়ে যাওয়া তারে সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চারজন মারা গেছেন। বুধবার সকালে উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের মধ্যম কাদমা গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তিরা হলেন ভেলাগুড়ি গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে খোরশেদ আলম (৩২), একই গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে ফেরদৌস আলম (২৭), একই গ্রামের গোলাপ হোসেনের ছেলে উকিল উদ্দিন (২৫), মধ্যম কাদমা গ্রামের জোনাব আলীর ছেলে মিল্টন মিয়া (২৫)।এঁদের মধ্যে মিল্টন মিয়া কালীগঞ্জের কাকিনার উত্তর বাংলা কলেজের ডিগ্রির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। অন্যরা স্থানীয় ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হাতীবান্ধার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের মধ্যম কাদমা গ্রামের জাহাঙ্গীর কাজির বাড়ির সামনের ১১ হাজার কেভি লাইনের তার ছিঁড়ে যায়। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই তারে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার কাজ করছিলেন চারজন। হঠাৎ করেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তাঁরা। ঘটনাস্থলে খোরশেদ, ফেরদৌস ও মিল্টন মারা যান। গুরুতর আহত উকিল উদ্দিনকে কালীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।হাতীবান্ধা উপজেলা বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিক্রয় বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী (আরই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার শিকার চারজন আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগের অনুমতি না নিয়েই ছিঁড়ে যাওয়া তারে বিদ্যুতের সংযোগ দিতে গিয়েছিলেন।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন স্থানীয় বিদ্যুৎ মিস্ত্রি ও একজন ছাত্র বলে জানতে পেরেছি। ঘটনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলে জানিয়েছি, অনুমতি না নিয়ে সরকারি বিদ্যুৎ লাইনে উঠে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার বিষয়ে হাতীবান্ধা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের ছিঁড়ে যাওয়া তার লাগানোর জন্য আমাদের দক্ষ, অভিজ্ঞ ও প্রয়োজনীয় জনবলের সহায়তা নেওয়া হলে এ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো।হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কোনো অভিযোগ না পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।