জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে২০১৪ সালের ৪র্থ বর্ষ অনার্স পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এ বিভ্রান্তিতে ৯ হাজার পরীক্ষার্থীর ফলাফলে ত্রুটি হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিলে গত ২৪ নভেম্বর ওই ফল সংশোধন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠণ করা হয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, সম্প্রতি এক পরীক্ষার্থী তার ফলাফল যাচাই করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে ওই ত্রুটি ধরা পড়ে। ২৭ সেপ্টেম্বর ওই পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে কিছু পরীক্ষার্থীর নম্বর বেড়ে যায় আবার কিছু শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে তা কমে গেছে। যা নজরে আসার পর সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়।

এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ওই ত্রুটি সংশোধনের ফলে ওই পরীক্ষায় এক লাখ ২৩ হাজার ২৫৫ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৯হাজার পরীক্ষার্থীর ফলাফলে কিছুটা ভিন্নতা এসেছে। এর মধ্যে পাঁচ হাজারের অধিক পরীক্ষার্থীর গ্রেডিং (সিজিপিএ) বেড়েছে। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য তিনি দু:খ প্রকাশ করেছেন। তিনি আরো জানান, এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ২৪নভেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বাবুকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠণ করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ফলাফলে ত্রুটি ও পরবর্তিতে তা সংশোধনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তিন কর্মকর্তাকে কারণদর্শাতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা ২১নভেম্বর সকালে উত্তরপত্র পূন:মূল্যায়নের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।

চাঁদপুর সরকারি কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিক উল্লাহ সিদ্দিকী জানান, আমাদের পরীক্ষার খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। যার কারণে আমরা ফেল করেছি। তাই ওই পরীক্ষার উত্তরপত্র পূন:মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাদের ওই দাবি না মানা হলে সেদিন তারা লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচী দেয়ার আল্টিমেটামও দিয়েছিলেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ ফয়জুল করিম জানান, গত ২৭সেপ্টেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছিল। এতে পাসের হার ছিল ৮১.১৯ শতাংশ। ২৮টি বিষয়ে সারাদেশে ১ লাখ ২৩ হাজার ২৫৫জন নিয়মিত পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৯৯ হাজার ৫৭০জন উত্তীর্ণ হন।

মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর।