%e0%a6%87%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a7%9f-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%ad%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%b8ইতালীয় নাগরিক তাভেল্লা সিজার হত্যায় নব্য জেএমবি জড়িত- র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদের এমন বক্তব্য নাকচ করে দিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম এর প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম।তিনি বলেন, তাভেল্লা ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এমএ কাইয়ুম এবং তার ভাইসহ সাতজন জড়িত। গোয়েন্দা পুলিশের যথাযথ তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তাদের নামে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপি’র জয়েন্ট কমিশনার মনিরুল এসব কথা বলেন।তাভেল্লা হত্যাকান্ডে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই মর্মে র‌্যাব ডিজির বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, আমি বিদেশে ছিলাম, তাই তিনি কী বলেছেন তা আমার জানা নেই। তবে আমার বিশ্বাস উনি (র‌্যাব ডিজি) এমন কথা বলেননি।

তিনি বলেন, তাভেল্লা সিজার হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমকে গ্রেফতার করা হবে। তিনি বর্তমানে বিদেশে পলাতক রয়েছেন। দেশে ফিরলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে।এক প্রশ্নের জবাবে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান বলেন, নারায়ণগঞ্জে অভিযানের সময় যখন ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলা হয়, তখন জঙ্গি মাস্টারমাইন্ড তামিম দ্জুনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তারা হলো- তানভীর কাদির ও মেজর জাহিদ। তানভীর কাদিরের এক ছেলে জেলে ও অন্য ছেলে পলাতক রয়েছে।

র‌্যাব ডিজি বলেছেন, নব্য জেএমবির প্রধান নেতা সারোয়ার জাহান। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী- জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, ‘সারোয়ার নব্য জেএমবির কোনো বড় মাপের নেতা নয়। তৃতীয় সারির নেতা হতে পারে। এ বিষয়ে র‌্যাব কী বলেছে, তা আমার জানা নেই।’তিনি বলেন, মারজানসহ নব্য জেএমবি’র দুই-একজন এখনও ধরা পড়েনি। তারাই এখন নেতৃত্বে আছে। তবে মেজর জিয়া এই গ্রুপের সঙ্গে জড়িত নয়। তিনি আনসার আল ইসলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।নব্য জেএমবির সঙ্গে পুরোনো জেএমবি’র ঠা-া লড়াই চলছে উল্লেখ করে মনিরুল ইসলাম বলেন, আনসার আল ইসলামকে নিষিদ্ধ করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে এরই মধ্যে সরকারের কাছে চিঠি লিখা হয়েছে। নব্য জেএমবিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়েও চিন্তা-ভাবনা চলছে।

নব্য জেএমবির ২১ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে বলে র‌্যাব ডিজি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আপনাদের কাছে কোনো তথ্য আছে কী-না জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, নব্য জেএমবির কোনো সুনির্দিষ্ট তালিকা ডিএমপি বা ডিবির কাছে নেই।প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার কারওয়ানবাজারের বিসিআইসি ভবনে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ দাবি করেন, তাভেল্লা হত্যাসহ ১৮টি নাশকতার ঘটনায় নব্য জেএমবি জড়িত।সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব ডিজি জঙ্গিদের বিভিন্ন সাংগঠনিক চিঠি ও নথিপত্র তুলে ধরেন।এদিকে গোয়েন্দা পুলিশ এ হত্যাকা-ের ঘটনায় ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এমএ কাইয়ুম, তার ভাইসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

নব্য জেএমবির একটি চিঠির সূত্র ধরে সংবাদ সম্মেলনে বেনজীর আহমেদ জানিয়েছিলেন, অন্তত ৩০০ সদস্য দিয়ে নব্য জেএমবি গঠিত হলেও বর্তমানে সংগঠনটির ২১ জন সদস্য সক্রিয় রয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন সূরা সদস্য, ১৯ জন মিড-লেভেলের। আমাদের চেষ্টা থাকবে তাদের সংখ্যা যেন ২১ থেকে ২২ না হয়। ২১ জনের সাংগঠনিক নাম পাওয়া গেছে। আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে তাদেরকে ধরার চেষ্টা করছি। চিঠিতে লেখা ছিল, ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের ৩৩ জন সদস্য ছিল। বাকিরা ‘তাগুত’দের হাতে শহীদ হয়েছে এবং কারাগারে রয়েছে। তাদের ৫টি হ্যান্ডগান, ১টি একে-২২ রাইফেল এবং কিছু সংখ্যক ‘আম’ (গ্রেনেড) রয়েছে।