বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের খুনীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদে বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব উত্থাপন ও নিষ্পত্তিকালে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির উত্থাপিত সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি ছিল ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হউক।’ প্রস্তাবটিতে ১০ জন সংশোধনী প্রস্তাব আনেন। এই দশজনই অবিলম্বে এটি কার্যকর করার দাবি করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথমে পলাতকদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মৃত্যুবরণকারীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। পলাতক আসামিদের গুলশান, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে সম্পত্তি রয়েছে বলে জানতে পেরেছে সরকার। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বার জনের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছে। সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ , বজলুল হুদা, মহিউদ্দিন আহমদ ও একেএম মহিউদ্দিন আহমদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। অপর ছয় আসামীর মধ্যে আবদুল আজিজ পাশা মারা গেছে। অবশিষ্ট ছয়জন পলাতক রয়েছেন।
প্রক্রিয়া প্রচলিত আইন মেনেই প্রতিপালন করা হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী। যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদের সম্পত্তি বায়েজাপ্তের বিষয়ে আইন মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আইন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এই সংসদেই আইনটি আনা হবে এবং সংসদ আইনটি গ্রহণ করবে।