0Um6yQ11qXGTমহেশখালীতে দেশের প্রথম ভাসমান লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল নির্মাণ এবং এর ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেন্ট এনার্জি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। উদ্যোগ নেওয়ার দীর্ঘ সাত বছর পর এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে পেট্রোবাংলা ভবনে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উপসচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার ও পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে সচিব সৈয়দ আশফাকুজ্জামান এবং এক্সিলারেন্ট এনার্জি লিমিটেডের প্রধান উন্নয়ন কর্মকর্তা ডেনিয়াল বুস্ট দু’টি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই-ইলাহি চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে এ প্রথম এলএনজির ব্যবহার হতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো আমাদের দেশে বিনিয়োগ শুরু করেছে। আশা করছি আরও বিদেশি কোম্পানি এদেশে বিনিয়োগ করবে। এ জন্য বিদেশিদের আরও বেশি নিরাপত্তা বাড়নো হবে। তিনি আরও বলেন, এলএনজির দাম একটু বেশি হলেও তার খুব বেশি একটা প্রভাব পড়বে না। তবে এ গ্যাস ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে।

দেশের প্রথম এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি সই

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, মহেশখালীতে এ প্রথম ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল বাস্তবায়ন ও এর ব্যবহার চুক্তি হয়েছে। এর ফলে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ঘন মিটার এলএনজি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন টার্মিনালটি থেকে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাবে বাংলাদেশ। কিন্তু দেশে যে হারে শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে তাতে প্রয়োজন সাড়ে ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। আশা করছি ২০২১ সালের মধ্যে তা পূরণ করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ শুরু করেছে। আশা করছি আরো অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আসবে। দেশের উন্নয়নকে আরো বেশি গতিশীল করবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ।

সংশ্লিষ্ট্র সূত্রে জানা যায়, টার্মিনালটি প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার এলএনজি ধারণ এবং প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস সরবরাহ ক্ষমতা সম্পন্ন। এলএনজি আমদানির জন্য প্রাথমিকভাবে এমএমবিটিইউ এর মূল্য ১৪ মার্কিন ডলার ধরলেও বতর্মানে এর বাজার মূল্য ৭-৮ ডলার রয়েছে। বর্তমান মূল্যে এলএনজি আমদানি করতে বছরে ১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ব্যয় হবে। এলএনজি আমদানি ব্যয়ে (৮ মার্কিন ডলার/এমএমবিটিইউ) হবে বছরে ১ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার এবং ভাসমান টার্মিনাল ব্যবহারের জন্য বছরে প্রায় ৯০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। ২০১৮ সালে শুরুতে কক্সবাজারের মহেশখালীর এ টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হবে বলে জানা গেছে।