ইয়েমেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর শহর মুকাল্লায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পৃথক তিনটি বোমা হামলায় অন্ততপক্ষে ৩৫ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছেন।বিবিসি বলছে, সোমবারের এসব বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।সন্ধ্যায় ইফতারের সময় সেনারা যখন রোজা ভাঙায় ব্যস্ত, তখন হামলাগুলো চালানো হয় বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামলায় একটি আত্মঘাতী বোমা, একটি গাড়িবোমা ও একটি হাতে তৈরি বোমা ব্যবহার করা হয়।এপ্রিলে ইয়েমেনি সরকারি বাহিনী ও সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব জোট বাহিনীর সেনারা শহরটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগ পর্যন্ত আল কায়েদার স্থানীয় শাখা আল কায়েদা ইন অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলার (একিউএপি) দখলে ছিল।মুকাল্লার পশ্চিম দিকের প্রবেশ পথে একটি তল্লাশি চৌকিত প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়। এখানে এক আত্মঘাতী তার পোশাকের ভিতরে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
এর পরপরই সামরিক গোয়েন্দা সদরদপ্তরে একটি গাড়িবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ইফতার গ্রহণের প্রস্তুতিরত সেনাদের মাঝে তৃতীয় বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।ইয়েমেনি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, একিউএপি ও আইএসের মধ্যে দ্বন্দ্ব সত্বেও মুকাল্লায় একই জঙ্গিরা দুই গোষ্ঠীর পক্ষ হয়েই কাজ করছে।এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, মুকাল্লায় জঙ্গিদের স্লিপার সেল রয়ে গেছে, আমরা প্রতিদিন তাদের ধরতে কাজ করে চলেছি।শহরটি মুক্ত করার পর থেকে বিভিন্ন অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী আল কায়েদার কয়েকশ’ যোদ্ধাকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় ২০টি গাড়িবোমাসহ বিভিন্ন হামলার পরিকল্পনাও উদঘাটন করা হয়েছে, বলেন তিনি।একিউএপি গোষ্ঠীর জঙ্গিরা ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের সুযোগ নিয়ে নিয়ন্ত্রিত এলাকা বৃদ্ধি করছে এবং অস্ত্র ও অর্থ লুট করছে।সরকারপন্থি ও আরব জোট বাহিনী এর আগে হুতি বিদ্রোহী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহর অনুগত সেনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যস্ত ছিল।জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে ৬,৪০০ মানুষ নিহত হয়েছেন যাদের অর্ধেকের বেশি বেসামরিক। এছাড়া আরো প্রায় ২৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।