ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের এক আক্রমণের পর সিরিয়ার রাক্কা প্রদেশে প্রবেশ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।শনিবার এ খবর জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।শুক্রবারের এই অভিযানে আইএসের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে সিরীয় সেনাবাহিনীকে রাশিয়া সমর্থন যুগিয়েছে বলেও জানিয়েছে লন্ডন-ভিত্তিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীটি।
এই নিয়ে গত কয়েকদিনে তিনটি বড় ধরনের হামলার মুখোমুখি হল মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। গোষ্ঠীটির দখলে থাকা গুরুত্বপূর্ণ শহর ফাল্লুজা পুনরুদ্ধারে সম্প্রতি বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছে ইরাকি বাহিনী। এরইমধ্যে তুর্কি সীমান্তের নিকটবর্তী সিরিয়ার মানবিজের দিকে আরেকটি অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরীয় বিদ্রোাহীরা।সিরিয়া ও ইরাকের বিশাল অংশ দখল করে নিয়ে তথাকথিত খিলাফত ঘোষণার পর থেকে এই প্রথম এ ধরনের ব্যাপক অভিযানের মুখোমুখি হল আইএস।
রাক্কার প্রান্তে সিরীয় সেনাবাহিনীর উপস্থিত হওয়ার আগে প্রতিবেশী হামা প্রদেশে আইএস অধিকৃত এলাকাগুলোতে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় রুশ বাহিনী।এর আরো পূর্বদিকে রাক্কা প্রদেশের প্রধান শহর আল রাক্কা, সিরিয়ায় আইএসের প্রধান শক্তিকেন্দ্র। শুক্রবার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রাক্কার কিছু এলাকা মুক্ত করেছে সেনাবাহিনী এবং জঙ্গিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সিরীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
এই অভিযানে সরকারি বাহিনীর কতোজন সেনা অংশগ্রহণ করেছে, তারা কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করছে এবং কতজন হতাহত হয়েছে, সে সম্পর্কে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে কিছু বলা হয়নি।তবে অবজারভেটরি জানিয়েছে, লড়াইয়ে আইএসের অন্তত ২৬ জন যোদ্ধা এবং সিরীয় ও তাদের মিত্র বাহিনীগুলোর নয় সদস্য নিহত হয়েছেন।দামেস্কপন্থি লেবাননি সংবাদপত্র আল আখবার জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রাক্কায় পৌঁছানো সেনাবাহিনীর অভিযানের লক্ষ্য নয়, ওই সময়ের মধ্যে তারা আসাদ হ্রদের তীরে তাবাক সিটিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে।তাবাক থেকে রাক্কা প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে। তাবাকে একটি বিমান ঘাঁটি আছে। ২০১৪ সালে টাউনটির নিয়ন্ত্রণ নেয় আইএস। রাক্কামুখি একটি প্রধান সড়কপথের ওপর টাউনটি অবস্থিত।