যুব বিশ্বকাপে

দৈনিকবার্তা-ঢাকা,১ফেব্র“য়ারি,২০১৬ : নিউজিল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপে যেন উড়ছিল নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সেই উড়ন্ত নেপালকে মাটিতে নামাল গ্র“পের শক্তিশালী দল ভারত। সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৭৯ বল বাকি থাকতেই তিন উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ইশান কিশানের দল। ভারত শুধু জয়ই পায়নি, ওপেনার পান্ত ম্যাচে যুব ওয়ানডের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরিও তুলে নেন। এতে গ্র“পে তিন ম্যাচ জিতে পূর্ণ ছয় পয়েন্ট নিয়ে ভারত গ্র“প চ্যাম্পিয়ন হয়। চার পয়েন্ট নিয়ে নেপাল গ্র“প রানার্সআপ হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে নেপাল।

ঘন কুয়াশার কারণে সকাল নয়টার পরিবর্তে এই ম্যাচ শুরু হয় সাড়ে নয়টায়। আধঘণ্টা বিলম্বে ম্যাচ শুরু হওয়ায় ম্যাচ ৫০ ওভারের পরিবর্তে ৪৮ ওভারে নেমে আসে। সেই ম্যাচে নেপাল সংগ্রহ করে আট উইকেটে ১৬৯ রান। হিমালয় কন্যার পক্ষে সন্দীপ সুনার ৩৭ ও রাজবির সিং ৩৫ রান করেন। ভারতের আভেশ কুমার সর্বোচ্চ তিনটি এবং মায়াঙ্ক ডাগার ও ওয়াশিংটন সুন্দার দুটি করে উইকেট নেন।জবাব দিতে নেমে ভারত মাত্র ১৮.১ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায়। শুরুতেই ব্যাটে ঝড় ওঠে ভারতীয় ওপেনার পান্তর। মাত্র ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর ২৪ বল থেকে নয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কার মারে তিনি করেন ৭৮ রান। পরে টামাংয়ের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এছাড়া হাফসেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক ইশান কিশানও। ৪০ বল থেকে সাত চার ও তিন ছক্কায় কিশান ৫২ রান করে আউট হয়ে যান। পান্ত, ইশানের পর স্বল্প সময়ে সাজঘরে ফেরেন রিকি ভুই। সোমবার ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন পান্ত। তার এই ইনিংসই যুব ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বলে হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড। যেই রেকর্ড এর আগে লেখা ছিল ওয়েষ্ট ইন্ডিজের ট্রেবন গ্রিফিথের নামে। ২০০৯-১০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি ১৯ বলে করেছিলেন দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি।

অবশ্য পান্তর রেকর্ড সত্ত্বেও পরপর তিন উইকেট হারানোয় শেষ দিকে কিছুটা স্লথ হয় ভারত। চতুর্থ উইকেটে সরফরাজ খান ও আরমান জাফর এসে আবারো দ্রুততার সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার বাকি পথটা পাড়ি দেন। সরফরাজ ২১ ও আরমান ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন ।