fbdf95de2d08badea8ec2404f0a9a89a-61

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৯ অক্টোবর ২০১৫: মেসি-নেইমারের অনুপস্থিতিতে হারের লজ্জা দিয়েই ২০১৮ বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাই পর্বে যাত্রা শুরু হলো লাতিন আমেরিকার দুই জনপ্রিয় দল আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের। কেউ কারও চেয়ে বেশি বা কম নয়, একই ব্যবধানে হারের স্বাদই পেয়েছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। ইকুয়েডরের কাছে ২-০ গোলে মেসিবিহীন আর্জেন্টিনা ও চিলির কাছে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারলো নেইমারবিহীন ব্রাজিল। বিশ্ব ফুটবলের দুই জনপ্রিয় দলের হারের দিন উরুগুয়ে, কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়ে। কোপা আমেরিকায় রানার্স-আপ হবার পর গত মাসে দু’টি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা।

প্রথম ম্যাচে মেসি-আগুয়েরো-লাভেজ্জি ঝলকে বলিভিয়াকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় গত বিশ্বকাপের রার্নাস-আপরা। পরের প্রীতি ম্যাচে আগুয়েরো-মেসির নৈপুন্যে মেক্সিকোর সাথে ২-২ গোলে ড্র’ও করে আর্জেন্টিনা। যদি ঐ ম্যাচ দু’টির স্কোরলাইনের দিকে তাকানো হয়, তবে দেখা যায় ঐ দুই প্রীতি ম্যাচে তিনটি গুরুত্বপূর্ন গোল করেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার সুখে ও বিপদে ঠিকই নিজেকে মেলে ধরেছিলেন মেসি। তবে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের শুরুতে থাকতে পারেননি তিনি। আর তাতেই কপাল পুড়লো আর্জেন্টিনার। সফরকারী হিসেবে আর্জেন্টিনার মাঠে খেলতে এসে জয় নিয়েই দেশে ফিরে গেলো ইকুয়েডর। আর এই ঘটনা ঘটলোও প্রথমবারের মত।

বুয়েন্স আয়ার্সে ম্যাচের শুরু থেকে আর্জেন্টিনার সাথে সমানতালে পাল্লা দিয়েছে ইকুয়েডর। তবে সময় যত গড়িয়েছে, আস্তে আস্তে নিজেদের দাপট খুইয়েছে স্বাগতিকরা। তারপরও ম্যাচের প্রথমার্ধ কোন বিপদ ছাড়াই শেষ করেছে তারা। গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় ম্যাচের প্রথম ভাগ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলেছে আর্জেন্টিনা। তখন নিজেদের ঘর সামলাতেই ব্যস্ত ছিলো ইকুয়েডর। কিন্তু কাঙ্খিত গোল যেন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়ায় দু’দলের সামনে। সেই সোনার হরিণের স্বাদটা প্রথম পায় ইকুয়েডরই। ৮১ মিনিটে মিডফিল্ডার সেগুনন্ডো কাসতিল্লোর ক্রস থেকে হেডের সাহায্যে গোল করেন ডিফেন্ডার ফ্রিকসন ইরাজো। এই গোল হজম করতে না করতে পরের মিনিটেই আবারো নিজেদের ব্যর্থতা প্রদর্শন করে আর্জেন্টিনা। ৮২ মিনিটে গোল করে ইকুয়েডরকে দ্বিগুন ব্যবধানে এগিয়ে দেন স্ট্রাইকার ফিলিপ কাইসিডো। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের স্কোরলাইন রেখে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে ইকুয়েডর।

মেসিকে ছাড়া যেখানে হারের লজ্জা বরণ করেছে আর্জেন্টিনা। সেখানে নেইমারকে ছাড়া কিভাবেই জিতে ব্রাজিল? প্রশ্নটা জন্ম নেয়ার কারণ হলো, মেসি ও নেইমারই দু’দলের আত্মবিশ্বাসের মূল অক্সিজেন। তাই দলের প্রধান তারকা না থাকায় চিলির কাছে হেরে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে যাত্রা করলো ব্রাজিলও।ব্রাজিল-চিলি ম্যাচের শুরু থেকে লড়াইটা দু’দল করেছে সমানতালে। তাই বল’কে কাঙ্খিত জালের ঠিকানা দিতে পারেনি কেউই। ফলে গোলশূন্য ছিলো ম্যাচের প্রথমার্ধও। দ্বিতীয়ার্ধে বেশক’টি আক্রমণও করেছে দু’দল। কিন্তু সেইসব আক্রমণ আনন্দের জোয়ারে ভাসাতে পারেনি ব্রাজিল কিংবা চিলিকে।

তবে ৭২ মিনিটে ঠিকই গোলের আনন্দের জোয়ারে ভেসেছে চিলি। মিডফিল্ডার মাতিয়াস ফার্র্নান্দেজের সহায়তা নিয়ে ব্রাজিলের জালে বল পাঠান স্ট্রাইকরা এডুয়ারডো ভার্গাস। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় চিলি। এরপর ম্যাচের শেষ মিনিটে গোল করে ব্রাজিলের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন দলের আরেক স্ট্রাইকার অ্যালেক্স সানচেজ। ফলে আর্জেন্টিনার মত ব্রাজিলও ২-০ গোলে ম্যাচ হারের স্বাদ পায়। আর ১৫ বছর পর ব্রাজিলের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ নিলো চিলি। দিনের অন্যান্য ম্যাচে উরুগুয়ে ২-০ গোলে বলিভিয়াকে, কলম্বিয়া ২-০ গোলে পেরুকে এবং প্যারাগুয়ে ১-০ গোলে ভেনেজুয়েলাকে হারিয়েছে।