Muhit-2-মুহিত-e1407397181911

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ,২৬ নভেম্বর: সরকারি কর্মজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত৷ বুধবার সচিবালয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি)ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েনচাই ঝাংয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান৷অর্থমন্ত্রী জানান, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বেতন ও চাকরি কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়া যাবে৷ এরপর তা মন্ত্রিসভায় যাবে৷ আরও কিছু প্রক্রিয়া শেষে আগামী বছরের জুলাই থেকে নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হবে৷

কয়েকটি পত্রিকায় বুধবার বেতন কমিশন নিয়ে ভুল প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত৷ ওই পত্রিকাগুলো বেতন কমিশন নিয়ে স্টুপিড রিপোর্টিং করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি৷আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, মঙ্গলবার সংসদে দেওয়া তাঁর বক্তব্যের সূত্র দিয়ে কয়েকটি পত্রিকা খবর প্রকাশ করে, ১৫ ডিসেম্বরের পর বেতন কমিশন কার্যকর হবে৷

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সাংসদ সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, বেতন ও চাকরি কমিশন-২০১৩-এর প্রতিবেদন আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পাওয়া যাবে৷ প্রতিবেদনটি পাওয়ার পর তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে৷একটি লিখিত প্রতিবেদন থেকে যে ব্যক্তি এত বাজে রিপোর্ট করেছে, সে সাংবাদিক হওয়ার উপযুক্ত কি না, সাংবাদিকদের উদ্দেশে এমন প্রশ্ন রাখেন অর্থমন্ত্রী৷

বেতন ও চাকরি কমিশন ( পে-কমিশন) নিয়ে মিডিয়ার খবরকে রাবিশ ও স্টুপিড রিপোর্টিং বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত৷তিনি বলেন, আমি শকড হয়েছি, স্টুপিড রিপোটিং করেছে৷ আমি বলব সে বাঙালি নয়৷ আই এম সরি টু সে, সে সাংবাদিক নয়৷ হি ইজ ওয়ার্থলেস৷ মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর একাধিক দৈনিকে রেপ-কমিশন নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী৷

পে-কমিশন নিয়ে দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা লিখিত বিষয়৷ তা যদি না ধরতে পারে তাহলে কীভাবে হয়৷ আমি বলেছি, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত কমিটি রিপোর্ট দেবে৷ এর পর আরও অনেক প্রক্রিয়া আছে৷ এটা কার্যকর হবে আগামী বছরের জুলাই নাগাদ৷ অথচ পত্রিকা কী লিখে দিল৷সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতির কারণে ব্যাংকগুলোর খেলাপী ঋণ বাড়ছে৷ এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না বাংলাদেশ ব্যাংকই নেবে৷ কৃষি ব্যাংকের খেলাপী ঋণ বিষয়ে মুহিত বলেন, আমার মনে হয় তাদের ব্যবস্থাপনা দুর্বল৷ যেহেতু তারা ক্ষুদ্রঋণ দেয় তাই তাদের সুপারভিশনে জনবল বেশি লাগে৷ এজন্য এখন তারা অ্যাগ্রো বিজনেসে যাচ্ছে৷’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পাঁচ বছর ধরে পিপিপি নিয়ে কথা বলছি৷ কিন্তু এতদিনে মাত্র একটি প্রকল্প প্রস্তুত হয়েছে৷ নতুন বিষয়ে প্রক্রিয়াটা বুঝতে সময় লাগছে৷এডিবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশন-১) ওয়েনকাই ঝাং-এর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম বাংলাদেশ সফরে এসেছেন৷ তারা বাংলাদেশে প্রকল্প আরও বাড়াতে চায়৷ আমরাও তাদের সঙ্গে একমত হয়েছি৷ আমি তাদের জানিয়েছি, জাপান আগে ৭০০ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করত বছরে৷ এখন তারা আগামী তিন বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে৷ আমরা এডিবিকেও বলেছি আপনারা ঋণের পরিমাণ বাড়ান৷ কারণ বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে৷