নাজিম হাসান/দৈনিক বার্তা : বাগমারায় জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রমের ব্যাপক স্থবিরতা লক্ষ্য করা গেছে। জনস্বাস্থ্যের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর অনুপস্থিতির কারনেই ওই দপ্তরের কাজের ব্যাপক স্থবিরতা দেখা দিয়েছে বলে এলাকার সচেতন মানুষ মনে করছেন। জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রমের স্থবিরতার কারনে বাগমারার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের হয়রানীর শিকার ও দুর্ভোগ পৌহাতে হয়েছে বলে এলাকার একাধিক মানুষ জানিয়েছেন।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর বদলীর পর মোহনপুর উপজেলার দায়ীত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস অতিরিক্ত কর্মকর্তা হিসাবে বাগমারায় দায়ীত্ব পালন করছেন। তিনি সপ্তাহে দু একদিন অফিস করেন বলেও জানা গেছে। গত এক মাসে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর দপ্তরে ১০ দিন গেলেও তাকে ওই চেয়ারে দেখতে পাওয়া যায়নি। খোঁজ করলেই অফিস সহকারী স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন স্যার রাস্তায় আছে আসতেছে। কিন্তু ওই দিন বার বার তার অফিসে গেলেও তাকে পাওয়া যায়না। চলতি বছরে খরার ব্যাপক প্রকোপ দেখা দেয়। অতিরিক্ত খরার কারনে অধিকাংশ নলকুপের পানি উঠা বন্ধ হয়ে যায়। এলাকার লোকজন বার বার তার অফিসে ধরনা দিয়েও তাকে না পেয়ে ফিরে যায়। প্রকৌশলীর অনুপস্থিতির কারনেই চলতি বছরে বাগমারায় সাধারন মানুষের ব্যাপক দুর্ভোগ পৌহাতে হয়েছে বলে এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান। এছাড়াও তার অনুপস্থিতির কারনেই ওই দপ্তরের যাবতীয় কাজ কর্মের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় বলেও জানা গেছে। অতিরিক্ত দায়ীত্ব পালনের কারনেই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বাগমারায় আসতে চান না বলেই উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা মনে করেন। তাঁর অনুপস্থিতির কারনেই সরকারী নলকুপ গুলো সুষ্ঠভাবে বিতরনে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অনেকে মনে করেছেন। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদেকুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি কখন কিভাবে অফিসে আসেন তা তিনি জানতে পারেননি। সরকারী কাজ গুলো বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিভাবে কি করছেন তিনিই জানেন বলে তিনি মন্তন্য করেন।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপসহকারী প্রকৌশলী প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস অফিসে অনুপস্থিতির বিষয় অস্বীকার করে বলেন, অতিরিক্ত সময়ে আমাকে বাগমারার দায়ীত্ব পালন করতে হয়। অফিসের যাবতীয় কাজ সুষ্ঠভাবে পরিচালিত হয় বলে তিনি দাবী করেছেন।