4মনির/দৈনিক বার্তা: ফরিদপুরের অন্তভূক্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক ও ঢাকা-মাওয়া-খুলনা মহাসড়কে প্রতিনিয়িত অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। কখনোবা সড়কের উপরে গাছ কিংবা বৈদ্যুতিক খুটি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে আবার কখনো প্রশাসনের পোশাকসহ উপকরন ব্যবহার করে তল্লাশির মানে ডাকাতি সংগঠিত হচ্ছে।
সুর্য ডুবতেই আতংকের জনপদে পরিনত হয় ফরিদপুর জেলা উপর দিয়ে যাওয়া দক্ষিন বঙ্গে যাতায়াতের প্রধান তিনটি মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা। মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা মাঠের মধ্যে দিয়ে যাওয়ায় এবং জনমানবহীন হওয়ায় ওই সকল এলাকায় আতংকের রাজত্ব কায়েম করে ডাকাতরা। কখনোবা ডিবি পুলিশ, কখনোবা র‌্যাব আবার কখনো হাইওয়ে পুলিশের পোশাক ও উপকরণ নিয়ে গাড়ির গতিরোধ করে তল্লাশির নামে হামলে পড়ে ড্রাইভার ও যাত্রীদের উপর। মারধর করে ছিনিয়ে নেয়া হয় মূল্যবান আসবাবপত্র।
ওই সড়কে চলাচলকারী ডাইভারদের দাবী, রাস্তায় গাছ ফেলে হরহামেশাই ওই সকল মহাসড়কে ব্যরিকেড দিয়ে ডাকাতি সংগঠিত করে। পুলিশের ব্যবহৃত ঝিকঝাক লাইট ব্যবহার করে সিগন্যাল দিলে আমরা পুলিশ মনে করে গাড়ী থামাই পরে বুঝতে পারি পুলিশ নয় ওরা ডাকাত। ড্রাইভাররা পুলিশের সাথে ডাকাতদের সখ্যতারও অবিযোগ করছেন অনেকেই। একই সাথে ওই রুটের ড্রাইভারদের দাবী হাইওয়েতে ঘনঘন পুলিশ চেকপোষ্ট থাকায় কারা ডাকাত আর কারা পুলিশ তা বোঝা দায়।
ভাঙ্গা থানর ওসি মোঃ নাজমুল ইসলাম ওই সকল এলাকায় ডাকাতের উৎপাতের কথা স্বিকার করে বলেন বিভিন্ন সময়ে তারা সড়ক পথে ডিবির পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করে থকে। ডাকাতদের উৎপাত সম্প্রতি বেড়ে গেছে। াামরা মহাসড়কের ডাকাতদের ধরতে তৎপর রয়েছি।
ফরিদপুর জোনের হাইওয়ে পুলিশের সিনিয়ির সহকারী পুলিশ সুপার বি.এম. আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, ফরিদপুর অঞ্চলের হাইওয়েগুলোতে রাত্রিকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন তারা। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বিট ভাগ করে কাজ করা হচ্ছে। তবে যানবাহন ও জনবলের সংকট রয়েছে বলেও তিনি দাবী করেন। তিনি আরো জানান, হাইওয়েতে ডাকাতির সাথে সম্পৃক্তদের তালিকা চুড়ান্ত করতে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।
দক্ষিণ বঙ্গের প্রবেশদ্বারের ফরিদপুর অঞ্চলের এ মহাসড়কগুলো ডাকাতদের কবল থেকে মুক্ত করে ঝুঁকিমুক্ত করার দাবী সর্বমহলের। #