3-1মাহ্বুব হোসেন পিয়াল/দৈনিক বার্তা: ‘বীরশ্রেষ্ঠের বীরত্বের গৌরব গাঁথা বর্তমান প্রজন্মের নিকট তুলে ধরতে হবে। বীরশ্রেষ্ঠদের সংগ্রামের কথা শুনলে মনে শক্তি ও বিশ্বাস জন্মায়।’ গতকাল রবিবার ফরিদপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ এর ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত হয়। এ উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান। মধুখালীর আড়পাড়াস্থ বীরশ্রেষ্ঠের মা মকিদুননেছার বাড়িতে দুপুরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন মধুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজার রহমান মোল¬া, বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ কলেজের অধ্যক্ষ মতিয়ার রহমান, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) মেজর আনোয়ার জাহিদ, মুক্তিযোদ্ধা বদরুল মনির ফারুকী, কাজী সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আগামী বছর থেকে প্রশাসনের উদ্যোগে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হবে। আড়পাড়া ছাড়াও ফরিদপুর শহরেও এ দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, কামারখালীর সালামতপুরে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ কব্দুর রউফ সংগ্রহশালী ও স্মৃতি জাদুঘর ও জাদুঘরে যাওয়ার সড়কটি মধুমতি নদীর ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে বিজিবি’র পক্ষ থেকে বীরশ্রেষ্ঠের মা মকিদুননেছাকে শাড়ি, শাল ও চেক প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক ভাবে বীরশ্রেষ্ঠের মায়ের জন্য একটি আইপিএস প্রদান করেন। এর আগে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এর মধ্যমে দিনের কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন বীরশ্রেষ্ঠের মা। এছাড়া দিনব্যাপী কোরানখানির আয়োজন করা হয়।  বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল স্বাধীনতা যুদ্ধ যুদ্ধচলাকালে পাকহানাদারদের সংগে সম্মুখ সমরে বর্তমান রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থানার বুড়িঘাটে চিংড়ি খাল নামক স্থানে শহীদ হন।